![]() |
তিস্তা হামাক শ্যাষ করিল |
নদীতে ভেঙে যাওয়া বসতভিটার অবশিষ্টাংশে বসে স্রোতে ভেসে যাওয়া ঘরের চাল ও গাছপালা দেখছিলেন বাসমত বেওয়া (৬১)। পাশেই নদীর পাড় ভেঙে নদীতে আছড়ে পড়ছে। তাঁর সেদিকে খেয়াল নেই। কাছে গিয়ে কথা বলতে চাইলে চুপচাপ। কোনো দিকে খেয়াল নেই। একসময় মুখ ফিরিয়ে বলেন, ‘কী বলমো, তিস্তা নদী হামাক শ্যাষ করিল। ভিটা বাড়ি সউগ নদীত। বুক শিলা নাগছে। থাকার জাগা নাই। এল্যা কোটে যাই।এ অবস্থা কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী বজরা এলাকায়। গত কয়েক দিনের নদীভাঙনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, অর্ধশতাধিক বসতভিটা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, পাকা সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম বজরায় গিয়ে দেখা যায়, উত্তরে সাতানশ কর গ্রাম থেকে দক্ষিণে সাদুয়া দামার হাটচর বজরা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। হস্তান্তরের আগেই পশ্চিম বজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের মুখে পড়ায় খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরজাহান বেগম ও বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন দাঁড়িয়ে থেকে বিদ্যালয়ের চাল খুলছে। আসবাব নিয়ে যাচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ